ব্যবহার

ব্র্যান্ডিং বা ব্যক্তিত্ব ডেভেলপের প্রথম ধাপই ব্যবহার, যার ব্যবহার ভালো তার লিডারশীভ ততই ভালো। আপনার আচার আচরণ বা ব্যবহার দিয়ে
একটা মানুষের মন জয় করা সম্ভব। মুখের বুলি হয় গুলি যার দরুন মানুষের হৃদয় চুর্ন করা যায় আবার পূর্ন করে বাগান সাজানো যায়।


সুন্দর ব্যবহার বলতে যা বুঝি আপনার বিনয়ীতা,সুন্দর করে কথা বলা,সালাম বিনিময় করা,কুশলাদি জিজ্ঞেস করা,নম্র ভাষায় কথা বলা,ইঙ্গিত পূর্ণ কথা না বলা, প্রতিহিংসায় না জড়ানো, ঝগড়া-ফ্যাসাদে লিপ্ত না হওয়া, ধমক বা রাগের সুরে কথা না বলা, পরনিন্দা না করা, অপমান-অপদস্ত না করা,গম্ভীর মুখে কথা না বলা, সর্বদা হাসিমুখে কথা বলা, অন্যের সুখে সুখী হওয়া এবং অন্যের দুঃখে দুঃখী হওয়া। এছাড়া কারও বিপদে দেখা করে সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করা।

কথা আছে মানুষের দুশমন কথা গাছের দুশমন লতা। কথাটা সুন্দর করে যদি প্রেজেন্ট করেন অনেক কঠিন কাজ সহজ হয়। প্রেজেন্টেশন ভুল হলে সহজ কাজ জটিল ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী হয়ে যায়।বলতে পারেন একমন দুধে একফোঁটা গোমূত্রের মত।

আপনি কত অর্থ বৃত্তের মালিক সেটা মানুষের দেখবে না বা আপনি কোন বংশের কৃতী তাও জিজ্ঞেস করবে না আপনার ব্যবহার মানুষের কাছে আপনার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরবে। সুন্দর ব্যবহারে চলমান নোংরা শব্দ হারিয়ে যায়।

যার ব্যবহার যত সুন্দর মানুষ তাকে তত ভালোভাবে গ্রহন করে ভালোবাসে ও সম্মান দেয়। সৃষ্টির সেরা মানুষ যাকে আল্লাহ এতো সুন্দর করে ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলার সুযোগ দিয়েছে। আপনার সুন্দর ব্যবহারে আপনার মুখ অনেকের কাছে প্রিয় হয় আবার অপব্যবহারের কারনে অনেকের কাছে অপ্রিয়। সুন্দর ব্যবহারে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব যার বিনিময় পরকালে জান্নাত।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মুমিনের আমলনামায় সুন্দর আচরণের চেয়ে অধিক ভারী আমল আর কিছুই হবে না। যে ব্যক্তি অশ্লীল ও কটু কথা বলে বা অশোভন আচরণ করে, তাকে আল্লাহতায়ালা ঘৃণা করেন। আর যার ব্যবহার সুন্দর, সে তার ব্যবহারের কারণে নফল রোজা ও তাহাজ্জুদের সওয়াব লাভ করবে। ’ -সুনানে তিরমিজি

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘সবচেয়ে বেশি যা মানুষকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে তা হলো- আল্লাহতায়ালার ভয় ও সুন্দর আচরণ। আর সবচেয়ে বেশি যা মানুষকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবে তা হলো- (মানুষের) মুখ এবং লজ্জাস্থান। ’ -সুনানে তিরমিজি

রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘সুন্দর আচরণই নেক আমল। ’ –সহিহ মুসলিম

হাদিসে রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে যার আচার-ব্যবহার সুন্দর, সে আমার সবচেয়ে বেশি প্রিয় এবং কিয়ামতের দিন সে আমার সবচেয়ে কাছে থাকবে। ’ -সুনানে তিরমিজি

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেন, ‘অশোভন-অশ্লীল কথা ও আচরণের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। আর যার আচরণ যত সুন্দর তার ইসলাম তত সুন্দর। ’ -মুসনাদে আহমদ

আরেক হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যার আচার-ব্যবহার সুন্দর, আমি তার জন্য সর্বোচ্চ জান্নাতে একটি বাড়ির নিশ্চয়তা প্রদান করছি। -সুনারে আবু দাউদ

হজরত রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, ‘যদি কেউ বিনম্রতা ও নম্র আচরণ লাভ করে, তাহলে সে দুনিয়া ও আখেরাতের পাওনা সব কল্যাণই লাভ করল। আর রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং সুন্দর আচরণ বাড়িঘর ও জনপদে বরকত দেয় এবং আয়ু বৃদ্ধি করে। ’ –আহমদ

মানুষের চাল-চলনে অনেক সময় গর্ব-অহংকার প্রকাশ পায়। মহান আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে অহংকারবশে চলতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে দম্ভভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয়ই তুমি কখনোই ভূপৃষ্ঠকে বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনোই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না।

’ (বনু ইসরাঈল, আয়াত : ৩৭)

পক্ষান্তরে চাল-চলনে মধ্যপন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘চাল-চলনে মধ্যপন্থা অবলম্বন করো, কণ্ঠস্বরকে নিম্নগামী রাখো। নিশ্চয়ই নিকৃষ্ট আওয়াজ হচ্ছে গাধার আওয়াজ।’ (সুরা লুকমান, আয়াত ১৯)

চাল-চলনে মধ্যপন্থা অবলম্বনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন রাসুল (সা.)। ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সচ্চরিত্রতা, উত্তম চাল-চলন এবং মধ্যপন্থা অবলম্বন নবুয়তের ২৫ ভাগের এক ভাগ।

’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৭৬)

মধ্যপন্থা

ভালোমানুষের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে আচার-ব্যবহারে বিনয়ী ও নম্র হওয়া। হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘ঈমানদার হয় সরল ও ভদ্র। পক্ষান্তরে পাপী হয় ধূর্ত ও হীন চরিত্রের।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৭৯০)

মহান আল্লাহ তাঁর রাসুলকে মুসলমানদের প্রতি বিনয়ী ও সদয় হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘যারা তোমার অনুসরণ করে, সেসব বিশ্বাসীর প্রতি সদয় হও।

#দক্ষতা_উন্নয়ন_সেশন_১৬
@everyone @highlight
Smart Enterpreneur Forum
#muhammed_nazrul_islam_noyon
#skill_development_session